ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্তের ১১০ তম তিরোধান তিথী স্মরণে ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু আগামী ১২ নভেম্বর।


রাধারমণ স্মৃতি সংঘের আয়োজনে উপজেলার কেশবপুর গ্রামে তিন দিনব্যাপী  অষ্ট প্রহর রাধা গোবিন্দের নাম ও  লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে।


জানা যায়, ১৮৩৩ সালে এই বংশের প্রভাকর দত্তের দ্বাদশ পুরুষে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সভার কেশবপুর গ্রামে দেশের লোক সংষ্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্র গীতিকবি রাধারমণ দত্তের জন্ম। রাধারমণের পিতা রাধামাধব পরম প্রতিভা ও অশেষ গুণের অধিকারী ছিলেন। পিতার সংগীত ও সাহিত্য সাধনা রাধারমণকে প্রভাবিত করেন। কালক্রমে তিনি একজন স্বভাবকবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯১৫ সালের ১০ নভেম্বর ২৬ কার্তিক ৮৩ বছরে বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।


রাধারমণের জনপ্রিয় গানের মধ্যে- ‘তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো, আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে/ কিংবা জবা কুসুম সন্ধ্যামালী আনরে তুলিয়া মনোরঙ্গে সাজাও কুঞ্জ সব সখি মিলিয়া, মুর্শিদ বলি নৌকা ছাড়ো তুফান দেখি ভয় করিও না, মুর্শিদ নামে ভাসালে তরী অকূলে ডুবিবে না / দেখলাম দেশের এই দুর্দশা, ঘরে ঘরে চুরের বাসা’ উল্লেখ যোগ্য। 


বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্ত একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী  ছিলেন। বিভিন্ন সংগ্রাহকদের মতে, রাধারমণে গানের সংখ্যা তিন হাজারেরও উপরে। তাঁর গানে প্রার্থনা, আত্মতত্ব, দেহতত্ব এবং পরমাত্মা বিষয়ক সঙ্গীত ছাড়াও তাঁর স্বদেশ প্রেমেরও অনেক গান রয়েছে। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং ব্যতিক্রম হচ্ছে ধামাইল গান। রাধারমণের গানে শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতা ছিলা না। তাঁর গানের সুরে ভূবন মাতোয়ারা হলেও রাধারমন দত্তের নিজের ভূ-সম্পতি অর্পিত হওয়ায় রাধারমণ গবেষক ও ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।


এদিকে, জগন্নাথপুর উপজেলা বাসী রাধারমণ দত্তের গানের চর্চা বাড়াতে রাধারমণের জন্মভিটায় রাধারমণ কমপ্লেক্স দ্রুত নির্মাণের দাবি রয়েছে।


শেয়ার করুনঃ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি থেকে আরো পড়ুন

জগন্নাথপুর, রাধারমণ দত্ত, মৃত্যুবার্ষিকী, কর্মসূচি