সুনামগঞ্জে ১১৭ কোটি টাকার ঘাস চাষ প্রকল্প শুধু কাগজেই সফল
কৃষি
প্রকাশঃ ৮ নভেম্বর, ২০২৫ ৮:৩৬ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। হেমন্তের শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সবজির চারা ও বীজ বিক্রির ধুম পড়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা শীতকালীন চাষের প্রস্তুতিতে সরব।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জগন্নাথপুর সদর, কলকলিয়া, চিলাউড়া, রসুলগঞ্জ, শ্রীরামসি, মীরপুর, কেইনবাড়ী, সৈয়দপুর ও রানীগঞ্জসহ সব হাটবাজারে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দেশি ও বিদেশি জাতের টমেটো, বেগুন, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, কুমড়া প্রভৃতি সবজির চারা বিক্রি করছেন। পাশাপাশি শিম, সরিষা, মিষ্টি লাউ, কুমড়া, কোয়াশ, লাইপাতা ইত্যাদির বীজও বিক্রি হচ্ছে
চাষীরা জানান, হাওরের উঁচু জমিগুলোতে ইতোমধ্যে চারা রোপণ শুরু হয়েছে। গেল সেপ্টেম্বরে অতিবৃষ্টিতে কিছু চারা নষ্ট হলেও হেমন্তের শুরুতে সবজির চারা ও ফলন ভালো থাকায় বাজারে সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে কার্তিক মাসের আগে এর দাম ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
রিয়া ট্রেডার্স মালিক প্রথাব রঞ্জন দাস বলেন, সরকারি প্যাকেটজাত ও বেসরকারি কোম্পানীগুলোর প্যাকেটজাত বীজ নিতে কৃষকরা বেশি আগ্রহী। এবার বীজ ধানে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। তাই প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা করতে গিয়ে আমরা অল্প লাভেই বিক্রি করছি। দেশী জাতের সবজির চারাগাছ ও বীজের চেয়ে বিদেশী হাইব্রিড চারাগাছ ও বীজ বিক্রি বেশি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী নূরুল, সাজন ও অনুকুল সহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কার্তিক মাসের আগে প্রতি কেজি শিম ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। বর্তমানে একই শিম ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি। এক কথায় প্রত্যেক সবজির মূল্য আগের বাজার মূল্যের চেয়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে। পাইকারী বাজারে সবজির মূল্য কম হওয়ায় খুচরা বাজারে সহনশীল মূল্যে বিক্রি করতে পারছি।
সবজি চাষী রমিজ আলীসহ একাধিক সবজি চাষী জানান, হেমন্তের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আগাম সবজিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে জমি চাষাবাদ করার পাশাপাশি চারা রোপণ ও বীজ বুনন করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শীত মৌসুমে এই ক্ষতি পুষিয়ে বাড়তি অর্থ উপার্জন এর আশা পোষণ করছি।
ক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় বাজারে কম মূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারছি। শীতে সবজির মূল্য আরো কম হবে, বেশি বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার আশা করছেন তারা।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ বলেন, সরকার কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। এই সহায়তা কৃষকদের কৃষি কাজে আরও উৎসাহিত করবে।
জগন্নাথপুর, মৌসুমী ফসল, সবজি চাষ