সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে এখনও পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার প্রতিটি নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

তবে জেলার অন্তত দশটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, বাজার, বাড়িঘর। এ পরিস্থিতেতে আগামীকাল ঈদ-উল-আযহা হলেও এসব এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদের স্বাভাবিক আনন্দ-উচ্ছ্বাস নেই। 

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট ও কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার মিটার ওপরে, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলশিদ পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে এসব পয়েন্টের প্রতিটিতে গতকালের তুলনায় আজ পানির স্তর কিছুটা কমেছে। সুরমা ও কুশিয়ারা ছাড়াও ধলাই, লোভা, সারি, ডাউকি ও সারি-গোয়াইন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আরো কমেছে। 

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মে থেকে ক্রমান্বয়ে সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেয়া দেয়।

এদিকে সিলেটের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরও ২১.২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে, এবং ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৫৮ মিলিমিটার।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় আগামীকাল ঈদের দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়াও কিছু এলাকা বজ্রসহ বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে পারে। তবে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হবে না।


শেয়ার করুনঃ

প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ থেকে আরো পড়ুন

সিলেট, সুরমা, বন্যা, বিপৎসীমা