কলেজে ভর্তি হওয়া সিলেটের চা শ্রমিক সন্তানদের পাঠ্যবই প্রদান
তথ্যপ্রযুক্তি-শিক্ষা
প্রকাশঃ ২৭ মে, ২০২৫ ১:২৫ অপরাহ্ন
গতকাল ২৬ মে প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক সংগঠন ‘সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব সাস্টর’র নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে কমিটিতে সভাপতি পদ না পাওয়ায় সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি সোহান শাহ এবং তার সহপাঠীদের বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির হাসান ও একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হাওলাদার।
গতকাল সোমবার (২৬ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতে সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন সোহান শাহকে। সভাপতির পদ না দেওয়ায় সংগঠনটির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বির হাসানের সঙ্গে সোহান শাহ-এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে একপর্যায়ে সোহান শাহ ও তার ব্যাচমেট কয়েকজন মোবাশ্বির হাসানকে মারধর করেন। পরবর্তীতে মোবাশ্বির হাসানের দুইজন জুনিয়র এসে এর প্রতিবাদ জানালে সোহান শাহ ইটের আঘাত দিয়ে শাকিল হাওলাদারের হাত থেতলে দেয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজানা তৈরি হয়। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ঘটনায় আহত উভয়েই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন। অপরদিকে একই ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহান শাহও আহত হয়ে তিনিও এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত মোবাশ্বির আহমদ বলেন, দুপুরে কমিটি ঘোষণার পর মেসে আমার রুমে এসে তর্কাতর্কি শুরু করে সোহান। তাকে কেনো সভাপতি করা হয়নি সেজন্য এক পর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলে। এমনকি তার দুই ব্যাচমেটকে নিয়ে আমাকে মারধর করে সে। পরববর্তীতে আমার দুইজন জুনিয়র কেন মারধর করেছে এর কারণ জানতে চাইলে সে তাদেরকেও ইট দিয়ে আঘাত করে। এতে একজনের হাতের গুরুতর আঘাত লাগে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।'
এ বিষয়ে মোস্তাক আহমদ বলেন, আজ আমাদের অ্যাসোসিয়শনের কমিটি প্রকাশ হয়েছে। এই দরকারে আমি মোবাশ্বির ভাইয়ে রুমে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি শাকিল ভাই ও মোবাশ্বির ভাই বসা। কি হইছে-তাদের কাছে জানতে চাইলে জানান, সোহান শাহকে কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দেওযা হয়নি দেখে সে (সোহান) তার দুই বন্ধুসহ মোবাশ্বির ভাইয়ের রুমে গিয়ে মারধর করছে। সোহান শাহকে এটা জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি শাকিল ভাই ও আমার ওপর আক্রমণ করে। আমাদেরকে ৪ থেকে ৫টি ইট ছুড়ে মারে। আমার গায়ে লাগছে। শাকিল ভাইয়ের হাতে গুরুতরভাবে লাগছে, তার হাত থেতলে গেছে। মোবাশ্বির ভাইকে মারার জন্য সোহান আগে থেকেই রুমে ইট এনে রাখছিল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহান শাহকে একাধিকবার কল দিলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বেলাল শিকদার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা এম্বুলেন্স নিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। আহত শাকিলের হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। চিকিৎসা চলমান আছে। চিকিৎসা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা বা ব্যবস্থা নিবেন।'
উল্লেখ্য, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানকে সভাপতি ও একই বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী মো. শাকিল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে গতকাল (২৬ মে) নতুন কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটিতে ১নং সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন অভিযুক্ত সোহান শাহ।
শাবিপ্রবি, শাবি, মারধর, সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, সোহান শাহ