সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শীতকালীন ছুটি পেছানো এবং ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে ‘নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা’ হিসেবে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা দুই দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে শীতকালীন ছুটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনভাবেই ছুটির সাথে সংঘর্ষ ঘটিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা যাবে না ও ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই শাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। বক্তাদের দাবি, ১৭ ডিসেম্বর একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বিল্ডিং প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, প্রশাসন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে ‘একটি গোষ্ঠীর চাপে পড়েছে’ এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি এড়িয়ে চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, আপ বাংলাদেশ, বৈষম্যবিরোধী ঘাত আন্দোলনের সাবেক নেতারা এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বক্তারা বলেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হলেও প্রশাসন ‘ছলচাতুরি ও কালক্ষেপণ’ করছে। ডাকসুর নির্বাচন হওয়ার পরও শাকসু নির্বাচন না হওয়া, নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও দীর্ঘদিন অগ্রগতি না থাকা এবং নভেম্বরের ঘোষণা স্থগিত করাকে তাঁরা প্রশাসনের ‘ইচ্ছাকৃত বিলম্ব’ বলে দাবি করেন।

গত ১৩ নভেম্বর নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন ভিসি ও প্রোভিসির ‘অসুস্থতার অজুহাতে’ স্থগিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেন। পরে রাত ১টার দিকে ভিসি আশ্বাস দিলেও পরদিন তিনি ‘একটি পক্ষের চাপে’ ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বক্তারা বলেন, ঘোষিত তারিখের আগে–পরে ছুটির কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে থাকবে না, ফলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। শীতকালীন ছুটি পেছানোর কারণে শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে, যা মূলত নির্বাচন বানচালের কৌশল।

অভিযোগ করে আরও বলা হয়, ছাত্রদল ভিসির কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে চলমান যৌক্তিক আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসী মব’ বলা হয়েছে এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ফ্যাসিবাদী আমলের কুয়াশা ফিরিয়ে আনার শামিল।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার, মুজাহিদুল ইসলাম, মমিনুর রশিদ শুভ প্রমুখ। 


শেয়ার করুনঃ

তথ্যপ্রযুক্তি-শিক্ষা থেকে আরো পড়ুন

শাকসু নির্বাচন, শাবিপ্রবি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে