শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচন ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠানের আলটিমেটাম দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।


রাত সাড়ে ৯টা থেকে অবস্থান ধর্মঘট পালনের পর রাত ৩টার দিকে উপাচার্যের সাথে আলাপের পর দুপুর দেড়টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকে সিদ্ধান্ত জানানোর আলটিমেটাম দেন তারা।


এ সময় রেজিস্ট্রার ঘোষিত বিলম্বিত শীতকালীন ছুটি প্রত্যাখ্যান করে তারা নতুন সিদ্ধান্ত দুপুরের মধ্যে না জানালে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন ।


এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনের কথা থাকলেও রাত ৯টা সম্মেলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন।


তার ঘোষণার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং একপক্ষকে খুশি রাখতে উপাচার্য এমন ঘোষণা দিয়েছেন জানিয়ে ৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের দাবি তুলেন।


রাত ২টার দিকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। 


তিনি বলেন, ‘শাকসু নির্বাচনের যে তারিখ দেয়া হয়েছে, এটি নিরাপত্তা ও বির্তকমুক্ত রাখতে গ্রহণযোগ্য। কারণ তার আগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। প্রশাসনের কাছে মনে হয়েছে এটি বির্তকমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য হবে।’


এদিকে শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে শনিবারের সংবাদ সম্মেলন শুরুতে বিলম্বের কারণ হিসেবে উপাচার্য ড. এএম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমি ম্যাথ অলিম্পিয়াডে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে অফিসে ফিরে রুমে ডুকে দেখি ছাত্রদলের বিশাল বাহিনী। আমি ছাত্রদলকে ডাকি নাই, প্রো-ভিসি মহোদয়ও ডাকেন নাই, কোষাধ্যক্ষ মহোদয়ও তাদের ডাকে নাই।’


উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ‘শাকসু নির্বাচন হবে, তোমরা প্রস্তুতি শুরু করো। এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নাই। আমরা তোমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।’


তিনি বলেন, ‘২৮ বছর পর আমরা চেষ্টা করে একটা ডেইট দিয়েছি, তোমরা যেখানে দুই-তিন-চার হাজার ভোটে জেতার সম্ভাবনা, তোমরা আন্দোলন করতেছো কেন? আমি ভেবেছিলাম ছাত্রদল মনে হয় মিছিল করাচ্ছে, কারণ তারা ২৮ তারিখ থেকে একটা অক্ষর নামবে না বলে থ্রেড দিয়ে গিয়েছে। বলেছে ওরা একটা তালা দিয়েছে আমরা গেইটে তালা দিব।’

তিনি বলেন, ‘তোমরা সুন্দর সুন্দর কাজ করেছো বলে আমি খুব অনুপ্রাণিত। তোমরা চাইলে সব করতে পার, এখন এই পরিবেশটা আনার জন্য শাকসু দরকার। শাকসুটাকে নষ্ট করো না৷ আমি আজকে আছি কালকে নাই, তোমাদের ২৫ জন শিক্ষক যেখানে বসা, একজন শিক্ষকও তোমাদের খারাপ চায় না। সবাই এক মতের ভিত্তিতে তারা ১১, ১৩, ১৫ তারিখ চিন্তা করেছে, তারপরে গিয়ে ১৭ তারিখে গিয়েছে।’


শেয়ার করুনঃ

তথ্যপ্রযুক্তি-শিক্ষা থেকে আরো পড়ুন

শাকসু নির্বাচন, শাবিপ্রবি আন্দোলন, সাস্ট বিক্ষোভ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ, সিলেট শিক্ষা সংবাদ