শাবিপ্রবিতে পুনঃভর্তি ও সেমিস্টার ফি পরিশোধের নির্দেশ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
তথ্যপ্রযুক্তি-শিক্ষা
প্রকাশঃ ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীর মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীকে ডাস্টার দিয়ে আঘাত করে পেশাগত অসদাচরণ ও প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ফরুক আহমেদ। নিয়োগপত্রের ১, ৭ ও ৯ নম্বর শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন সময়ে বিধি অনুসারে তিনি খোরপোশ ভাতা পাবেন।
এর আগে, সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে আহত শিক্ষার্থীকে জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভে নামলে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।
প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, প্রবিধানমালা ২০২৪–এর ৫৩(৭) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় এবং বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে শাসন করতে গিয়ে ফারুক আহমেদ সামনের টেবিলে বসা এক ছাত্রীকে বারবার ডাস্টার দিয়ে আঘাত করছেন। আঘাতে তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে শিক্ষক নিজেই টিস্যু দিয়ে রক্ত মুছে দেন এবং আরেক শিক্ষার্থীকে দিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা রক্ত পরিষ্কার করান।
এ ঘটনার পর আহত ছাত্রীর বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, “আমার মেয়েকে অমানবিকভাবে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদ। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে জানিয়েছি।”
সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর, প্রধান শিক্ষক, ছাত্রী, আহত, ডাস্টার, আঘাত, বরখাস্ত