খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ
কেনো বরখাস্ত হলেন দুই শিক্ষক, কেনোইবা সাবেক-বর্তমান ডিসির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা
বিশ্লেষণ
প্রকাশঃ ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৫০ অপরাহ্ন
সাদা পাথর লুটের ঘটনায় সিলেটের আগের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) অপসারণের পর নতুন দায়িত্ব পান দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম। কিন্তু যোগদানের একমাসের মধ্যেই সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিসি সারওয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত তাঁকে লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
একইসঙ্গে নতুন করে আরেকটি মামলা হয়েছে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় সমালোচিত হয়ে অপসারিত সাবেক ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদসহ জেলা প্রশাসনের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কী হচ্ছে সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজকে কেন্দ্র করে, কেনইবা বরখাস্ত হলেন দুই শিক্ষক, মামলাও হচ্ছে ডিসিদের বিরুদ্ধে – এ বিষয়টি এখন সিলেটজুড়ে ব্যাপক আলোচিত।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রথম ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য একটু পেছনে ফিরে দেখতে হবে।
সিলেটে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার প্রসারে ১৯৮৭ সালে সিলেট নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় ঐতিহ্যবাহী খাজাঞ্চিবাড়ির আঙ্গিনায় প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিদ্যালয়টি।
প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন একটি ট্রাস্টি বোর্ড। যা মূলত গঠন হয় সিলেটের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এবং পদাধিকারবলে সিলেটের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) এ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ পদাধিকারবলে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব এবং সিলেটের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও ট্রাস্টি সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমসি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল বাকী চৌধুরী বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এবং অ্যাকডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টিদের মধ্যে তিনজন – নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ ও সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান বিগত কয়েক বছরের মধ্যে মারা গিয়েছেন।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে ট্রাস্টি হিসেবে আছেন এমসি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এএনএএ মাহবুব আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ চৌধুরী, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিলেটের নতুন ডিসি হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি দায়িত্ব নেয়ার বেশ কিছুদিন পর তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
চলতি বছরের ৪ জুন ট্রাস্টি বোর্ডের ২০০ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৪ নং আলোচ্যসূচি হিসেবে ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আলোচ্য ছিল। কিন্তু সভার সভাপতি ডিসি মুরাদ আলোচ্যসূচির এই বিষয়ে কোন আলোচনা না করেই সভা শেষ করে দেন।
পরবর্তীতে বোর্ডের সদস্যদের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই তিনি রেজুলেশনে নতুন ট্রাস্টি হিসেবে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (রাজস্ব), সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিলেট মহানগর সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের শিক্ষা শাখার সিনিয়র সহকারি কমিশনাকে ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
তারপর ডিসি মুরাদ এই রেজুলেশনটি ট্রাস্টি বোর্ডের বাকি ৫ সদস্যের কাছে স্বাক্ষরের জন্য পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আলোচনা ছাড়াই এই অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ২৪ জুন বোর্ডের ৫ জন ট্রাস্টি ডিসির কাছে তাদের দ্বিমত জানিয়ে লিখিত চিঠি প্রেরণ করেন। তবে এই চিঠি আমলে না নিয়েই ৭ জুলাই নতুন ৫ জন ট্রাস্টি নিয়োগে স্বাক্ষর করে ডিসি মুরাদ। এসময় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং বোর্ডের সদস্য সচিবও তাতে স্বাক্ষর করেন।
এতে ক্ষুব্ধ ৫ জন ট্রাস্টি ৯ জুলাই সিলেট আদালতে ডিসি মো. শের মাহবুব মুরাদসহ নতুন অন্তর্ভুক্ত ৫জন ট্রাস্টি সদস্যের বিরুদ্ধে সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ট্রাস্টিদের আইনজীবী এএইচ ইরশাদুল হক জানান, আদালত সার্বিক বিষয়ে শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নেন এবং ২৭ জুলাই নতুন যুক্ত হওয়া ট্রাস্টিদের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। কিন্তু ট্রাস্টি বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত কর্মকর্তাদের কেউই আদালতের আদেশের কোনো জবাব দেননি।
পরবর্তীতে ২৭ জুলাই আদালত এই ৫ কর্মকর্তাকে পরবর্তী শুনানির আগ পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় অংশগ্রহণ না করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে তার পরদিনই ২৭ জুলাই ট্রাস্টি বোর্ডের সভা আহবান করেন ডিসি মুরাদ। সে সভায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বাকি ৫ কর্মকর্তাও যোগ দেন।
জুলাই আন্দোলনের পর শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের দাবির মুখে খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হোসেন আহমেদ ও উপাধ্যক্ষ তাহিয়া সিদ্দিকাকে অপসারণ করা হয়।
এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সিনিয়র শিক্ষক রাজকুমার সিংহ এবং ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সিনিয়র শিক্ষক মুজিবুর রহমান।
এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাজকুমার সিংহের চাকুরির মেয়াদ শেষ হওয়া যাওয়ার পরেও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশে তাকে পরবর্তী ট্রাস্টি বোর্ডের সভা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হলে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২৫ আগস্ট ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয় থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল রাজকুমার সিংহকে কল করে আর দায়িত্ব পালন না করতে বলা হলে তিনি আর প্রতিষ্ঠানে যাননি। তিনি দায়িত্ব কার হাতে হস্তান্তর করা হবে জানতে চাইলে তাকে কার্যালয় থেকে বলা হয় যে কাউকেই দায়িত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই।
সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ সরকারি, বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) কিংবা সরাসরি বেসরকারি মালিকানাধীন নয়–বরং ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। আর পদাধিকারবলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিব হিসেবে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া আর্থিক কিংবা পরিচালনা বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্তই কার্যকর হয়না।
ডিসি মুরাদ স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করলেও নতুন ট্রাস্টি নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার সাথে সবার মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সকল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকা শুরু করেন।
এরই মধ্যে সিলেটের সাদাপাথর লুটকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। ১৮ আগস্ট তাকে সিলেট থেকে অপসারণ করে মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে যুক্ত করা হয়। ২০ তারিখ তিনি সিলেট ত্যাগ করেন এবং ২১ আগস্ট সিলেটের নতুন ডিসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. সারওয়ার আলম।
তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর তার দপ্তর থেকে ফোন কলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আর দায়িত্ব পালন না করার নির্দেশ দিলে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিতে শুরু হয় অচলাবস্থা। ২৬ তারিখ থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয় বন্ধ থাকায় দাপ্তরিক সকল কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে যায়।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়া প্রিপেইড বিদ্যুতের মিটারও রিচার্জ করতে না পারায় ২৭ আগস্ট শেষ দুই পিরিয়ডে বাকি থাকতেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির।
পরদিন ২৮ আগস্ট সকাল থেকেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তাতে যুক্ত হন অভিভাবকরাও। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে আসেন সিলেটের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি) এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নুমের জামান চৌধুরী।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তখন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি তুলে তার গাড়ি অবরোধ করেন। তখন তিনি মৌখিকভাবে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগের কথা বললে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
অচলাবস্থা কাটাতে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হককে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ (নারী) এবং সিনিয়র শিক্ষক মো. রোকন উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ (পুরুষ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে ট্রাস্টি বোর্ড এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই এ নিয়োগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপালদের নাম-ছবি যুক্ত করা হয়।
অচলাবস্থার মধ্যেই ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের বিধি লঙ্ঘন করায় ১১ সেপ্টেম্বর দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটে ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্বপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ(নারী)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য শিক্ষকদেরকে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদকরণসহ বহুল প্রচারের জন্য সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন যা খাজাঞ্চিবাড়ী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশন-এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।’
এমন কার্যকলাপ বিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মপরিবেশের জন্য হানিকর ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে আইনের প্রতি অমান্যতার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সিলেটের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের বিধি লঙ্ঘন করায় মো. রোকন উদ্দিন ও আবেদা হককে সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার ডিসির আদেশকে চ্যালেঞ্চ করে গত বৃহস্পতিবার সিলেটের সিনিয়র সহকারি জজ সদর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন শিক্ষক আবেদা হক। মামলায় ডিসি মো. সারওয়ার আলম ও অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি নুমের জামান চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী ইরশাদুল হকের বক্তব্য যে খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুল সরকারি কিংবা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান নয়, বরং ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। এখানে ডিসি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেও তিনি একক সিদ্ধান্তে চাইলেই কাউকে চাকরিচ্যুত করার এখতিয়ার রাখেন না।
এ মামলার নথি সোমবার বিকেল পর্যন্ত ডিসি সারওয়ারের হাতে পৌঁছায়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন যে নথি হাতে পেলে বিধিমোতাবেক তিনি আদালতকে তার ব্যাখ্যা জানাবেন।
একই দিন পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে আগের ডিসি মুরাদ এবং তার সময় ট্রাস্টি বোর্ডে যুক্ত করা ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ট্রাস্টি বোর্ডে নতুন সদস্য যুক্ত করা প্রসঙ্গে গত ৯ জুলাই আদালতে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠক করায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, ডিসি সিলেট, শোকজ, মামলা