জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। 


আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করেন যে, আল-মামুনের কৃত অপরাধগুলো “মৃত্যুদণ্ডযোগ্য” ছিল। 


তবে তার “নমনীয় ও পূর্ণাঙ্গ স্বীকারোক্তি” এবং অপরাধের দায়ে অনুতপ্ত হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ায় আদালত তাঁকে লঘু শাস্তি দিল। ট্রাইব্যুনাল রায়ে পর্যবেক্ষণ করে, “আমরা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করছি এবং লঘু শাস্তি প্রদান করছি।”


ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, আল-মামুন তাঁর জানা সকল পরিস্থিতি সম্পর্কে “পূর্ণাঙ্গ ও সত্য প্রকাশ” করেছেন। এর মধ্যে ছিল তাঁর নিজের এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের জড়িত থাকার বিস্তারিত তথ্য। 


আল-মামুন রাজসাক্ষী এবং রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালকে পূর্বে বলেছিলেন যে, তাঁর দীর্ঘ পুলিশি জীবনে তিনি সবসময় “পরিষ্কার ভাবমূর্তি ও রেকর্ড” বজায় রেখেছেন। 


তিনি এ ঘটনায় গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করে বলেন, যা ঘটেছে তাতে তিনি লজ্জিত এবং ট্রাইব্যুনাল ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। উল্লেখ্য, এই মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া তিনিই প্রথম অভিযুক্ত।


এই মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনই একমাত্র অভিযুক্ত, যিনি আটক ছিলেন এবং বিচারের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 


অপর দুই অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য সম্পন্ন হয় এবং তাদের দুজনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আদালত।


শেয়ার করুনঃ

অপরাধ-বিচার থেকে আরো পড়ুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শেখ হাসিনা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, রায় ঘোষণা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, রাজসাক্ষী, সাবেক আইজিপি, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন