ছাতকে জমি নিয়ে বিরোধ : দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৫
অপরাধ-বিচার
প্রকাশঃ ৯ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:২৭ অপরাহ্ন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার ছেলে আসাদ আহমদকে রিমান্ডে এনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়নি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসাদ পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
এ অবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছেন। রোববার (৯ নভেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল হকের আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। সোমবার (১০ নভেম্বর) এ আবেদন শুনানির হবে বলে জানান আদালত।
বিষয়টি সিলেট ভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন, দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা রিমান্ডে আনার পর সে কোন তথ্যই দেয়নি, সে আমাদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে, সেজন্য আমরা আদালতে ফের রিমান্ড আবেদন করেছি আপাদত ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছি, বিচারক আগামীকাল এটির শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর আসাদ আহমদকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে আবারও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১ নভেম্বর পুলিশ আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আসাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। এ সময় পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার নিজ বাসা থেকে। পুলিশের ভাষ্য, নিহতের বুক, পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। লাশের পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয় ২২ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। দুই মাস আগে তিনি নিজের সম্পত্তি ভাগ করে দেন। এরপর থেকেই অসুস্থ ছিলেন এবং চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন।
বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত বাড়িতে কাউকে প্রবেশ বা বের হতে দেখা যায়নি। সকাল আটটার দিকে গৃহকর্মী ঘরে ঢোকার পর রাজ্জাককে তার কক্ষে না পেয়ে সিঁড়ির ঘরে লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তখন সিঁড়ির দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল, আর সেই চাবি রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
ঘটনার পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে পরিবারের কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে রাখা হয়েছে।
সিলেট, রাজ্জাক হত্যা, দক্ষিণ সুরমা,