মরমী কবি হাসন রাজার ১০৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি
প্রকাশঃ ৭ নভেম্বর, ২০২৫ ৩:২৮ অপরাহ্ন
মরমি কবি ও সংগীতসাধক হাসন রাজার নিজ জন্মভূমি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামে এবারই প্রথমবারের মতো হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে স্মরণোৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. জহিরুল ইসলাম (অচিনপুরী) নেতৃত্বে স্মরণোৎসবের মাঠ পরিদর্শন করা হয়। পরে সাংবাদিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে যখন জমিদারি প্রতাপ ছিল, তখনও হাসন রাজা ছিলেন ভিন্ন প্রকৃতির জমিদার। তিনি সৌখিন ছিলেন, ঘোড়া-কুড়া ও নানা প্রজাতির পশুপাখি লালন করতেন। কিন্তু জৌলুসের মধ্যেও তিনি উপলব্ধি করেন মানুষ একদিন চলে যাবে, সব বাহাদুরি অর্থহীন। তখন থেকেই তিনি ভাবের জগতে প্রবেশ করেন এবং সুফিবাদের পথে হাঁটেন।”
তিনি আরও বলেন, আমরা হাছন রাজাকে জমিদার হিসেবে বেশি প্রচার করেছি, কিন্তু তাঁর মরমি ও সুফিবাদী দর্শন নিয়ে কাজ করিনি। তিনি ছিলেন একজন দরবেশ, একজন সুফি সাধক। এখন সময় এসেছে তাঁকে সেই রূপে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করার।
ডা. জহিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে রামপাশায় যে বাড়িটি রয়েছে, সেটি হাছন রাজা নির্মাণ করেননি, তাঁর ছেলে দেওয়ান একলিমউর রাজা চৌধুরী নির্মাণ করেছিলেন। হাসন রাজা জীবদ্দশায় কোনো পাকা ঘর তোলেননি, তিনি পরকাল ও পরম সত্তার দর্শন ধারণ করে জীবনযাপন করতেন। তাঁর প্রতিটি গানে সেই সুফি ভাবধারা ও পরম সত্যের অনুসন্ধান স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবাজ রাজা চৌধুরী, শামীম রেজা চৌধুরী, সহসভাপতি আসাদুজ্জামান নুর, সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন চুন্নু, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন শিপলু, প্রচার সম্পাদক শাহান উদ্দিন নাজু, বন ও পরিবেশ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাসেল, সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এম. এজাজুল হক এজাজ ও সদস্য আব্দুল মনাফ।
বিশ্বনাথ, হাসন রাজা, স্মরণোৎসব, ডা. জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী