সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ মৃত্যুকে খুন হিসেবে বললেও পরিবারের সদস্যরা একে আত্মহত্যা হিসেবে মন্তব্য করেছেন।


আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোর থেকে সকালের মধ্যে দক্ষিণ সুরমা তেলিগাই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ৫৫ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাকের মরদেহ। 


সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রাথমিকভাবে জানান, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। মরদেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


তবে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে মানতে নারাজ। তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ শেষে ছাদে হাঁটতে যান রাজ্জাক। পরে সকাল ৯টার দিকে তিনি ঘরে না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। কিছু সময় পর ছাদের এক কোণে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।


তাদের দাবি, বাসার সিসিটিভি ক্যামেরায় বহিরাগত কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তাছাড়া গত চার-পাঁচ মাস ধরে রাজ্জাক মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে তিনি কখনও পরিবারকে জানাননি, কেন তিনি এমন অবস্থায় ভুগছেন।


দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যার সম্ভাবনার কথা বললেও পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে খুন হিসেবে ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’


শেয়ার করুনঃ

অপরাধ-বিচার থেকে আরো পড়ুন

সিলেট, আওয়ামী লীগ, নেতা, হত্যা, খুন, আত্মহত্যা, দক্ষিণ সুরমা