৩১ জুলাই, ২০২৪। সারা দেশে ছাত্রহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা গুম-খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী মার্চ ফর জাস্টিসের ঘোষণা দেয়। 


সকাল ১১টা থেকেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক শহীদ রুদ্র তোরণের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দিলেও তারা বাঁধা উপেক্ষা করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।


একই সময়ে শাবিপ্রবির শিক্ষাকদের একাংশ ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে ক্যাম্পাসের চেতনা ৭১ এর সামনে সমবেত হয়ে মিছিলযোগে প্রধান ফটকে আসেন। এ সময় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে আমি লজ্জিত, আমার মনে হচ্ছে যে শিক্ষার্থীরা মারা গেছে, তাদের মৃত্যুর সংবাদ শোনার আগে আমার কেন মৃত্যু হলো না।’


দুপুর গড়ানোর আগেই ‘মাস্ট ফর জাস্টিস’ এ অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড় ক্রমেই বাড়তে থাকে। এ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ফটক থেকে নগরীর বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট অভিমুখে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। উদ্দেশ্য ছিল নগরবাসীকে ছাত্রদের দাবির সাথে সম্পৃক্ত করা।


দুপুর ১২টার দিকে দিকে শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা নিয়ে সিলেট নগরীর অভিমুখে শুরু করে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’। শতাধিক শিক্ষার্থীর এ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে পাঠানটুলা এলাকা অতিক্রম করার আগেই কয়েকশত বিক্ষোভকারীর বিশাল মিছিলে পরিণত হয়। 


সাড়ে ১২টার দিকে সুবিদবাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতিও হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে পদযাত্রা সামনে অগ্রসর হতে থাকে। এ সময় পিছন থেকে ও রাস্তার পাশ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানো গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। মুহূর্তেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় শিক্ষার্থীরা, আহত হন অজস্র শিক্ষার্থী।


শেয়ার করুনঃ

সংগ্রাম-স্বাধীনতা থেকে আরো পড়ুন

জুলাই অভ্যুত্থান, শাবিপ্রবি, সড়ক অবরোধ, কোটা আন্দোলন, পুলিশ, লাঠিচার্জ, মার্চ ফর জাস্টিস