মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস আজ
সংগ্রাম-স্বাধীনতা
প্রকাশঃ ১০ জুলাই, ২০২৫ ৬:০৪ অপরাহ্ন
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা গত বছরের ১০ জুলাই সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে ব্যস্ততম সময়ে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোলচত্বর থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির ঝাপটায় ভিজে যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে ছিল ছাতা, কেউ সরাসরি বৃষ্টিতে ভিজেই সড়কে অবস্থান নেন।
সড়কের দু’প্রান্তে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়। থমকে যায় যানচলাচল। প্রায় পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে হাজারো মানুষ সড়কে আটকে পড়েন। কেউ কেউ হেঁটেই রওনা হন গন্তব্যের উদ্দেশে।
তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সরঞ্জামবাহী যান চলাচলে শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করেন।
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান, কবিতা, গান ও বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দেন। তাঁরা স্লোগান দেন, ‘কোটা নয়, মেধা চাই’, ‘একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সাস্টিয়ান এক হও, লড়াই করো’, ‘সাড়া বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’।
আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘আমাদের দাবি সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
অবরোধ শুরু হয় দুপুরে, তবে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। এর মধ্যে তিন শতাধিক যানবাহন ও হাজারো মানুষ মহাসড়কে আটকে পড়েন। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
একই দিন ঢাকায়ও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। এর ফলে সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রেল যোগাযোগ। এর প্রভাব পড়ে সিলেটেও। সিলেট রেলস্টেশনে আটকে পড়ে বিভিন্ন ট্রেনের শত শত যাত্রী। সন্ধ্যার পর রেল চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাবিপ্রবি, জুলাই অভ্যুত্থান, ফিরে দেখা