শাল্লায় 'ঠিকাদার-প্রকৌশলী সিন্ডিকেট', বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
অপরাধ-বিচার
প্রকাশঃ ৪ জুলাই, ২০২৫ ৩:২৪ অপরাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাটে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের কচুপাড়া গ্রামের ১৮ বছর বয়সী এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যানবাহনে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের একটি বালুচরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে জামাকাপড় ছেঁড়া ও শারীরিকভাবে দুর্বল অবস্থায় দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তিনজন ব্যক্তি তাকে 'খারাপ কাজ' করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা নুর জাহান বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২৫) এর ৭/৯(৩) ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, উমাগড় গ্রামের মৃত নিখিল দাসের ছেলে নোহা চালক শুভংকর দাস (২৭), কচুপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমদের ছেলে ক্যারিকাভ চালক বাবুল আহমদ (২৮), এবং চটিগ্রাম গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে পিকআপ চালক ফাহাদ মিয়া (২৫)।
মেয়েটির মা জানান, তার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় মাঝে মাঝে কাউকে না বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ত। তাই তিনি রাতেও মেয়েকে আঁচলে বেঁধে রাখতেন। তবুও মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ঘুম ভেঙে দেখতে পান, ঘরের দরজা খোলা ও মেয়ে নিখোঁজ।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে থানায় হাজির হন। পুলিশ ভিকটিমকে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠায়।
পরে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়ালের নির্দেশনায় এসআই খোকন চন্দ্র সরকার, এসআই শাহ আলম, এসআই শৈলেশ চন্দ্র দাস ও এএসআই আরেফিনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানান, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বাড়ির অদূরে বীরদল খালোমোরা নামক স্থানে রাস্তার পাশে একা পেয়ে গ্রেফতারকৃত ৩ জন নোহা গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের পর ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে নেয়া হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।