সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শিকল পরানোর অভিযোগে এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাঈদ আহমদ। তিনি উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামিয়া ইসলামিয়া দেওয়ানগঞ্জ মাদরাসার শিক্ষক। 

রোববার (২২ জুন) বিকেলে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। 

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদরাসার নুরানি দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাতের বাম পায়ে শিকল পরিয়ে পাঠদানে বাধ্য করেন শিক্ষক সাঈদ। পরে বিকেলে মাদরাসা ছুটি হলে শিকলের অপর প্রান্ত একটি শপিং ব্যাগে ভরে বাড়ির দিকে রওনা দেয় আরাফাত। এরপর উপজেলার গাছতলা বাজারে পৌঁছালে এ বিষয়টি তাঁর বাবার নজরে আসে। 

শিক্ষার্থী আরাফাত উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের নওধার গ্রামের হবিকুল মিয়ার ছেলে।  

এদিকে বিষয়টি দেখার পর আরাফাতকে নিয়ে পুনরায় মাদরাসায় গিয়ে শিকল পরানোর কারণ জানতে চান তাঁর বাবা। কিন্তু মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়।  

অপরদিকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে পাঠালে রোববার বিকেলে মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি আশরাফ আলীসহ কয়েকজন ইউএনওর কার্যালয়ে দেখা করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কারের কথা জানান।

এ ব্যাপারে ইউএনও জনি রায় বলেন, 'অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য একটি লিখিত অঙ্গীকারনামাও দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।' 


শেয়ার করুনঃ

অপরাধ-বিচার থেকে আরো পড়ুন

ধর্মপাশা মাদরাসা শিকল মাদরাসা শিক্ষার্থী নির্যাতন সুনামগঞ্জ শিশু নির্যাতন মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার জামিয়া ইসলামিয়া দেওয়ানগঞ্জ