সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে দীর্ঘদিন ধরেই সবজির দোকান বসে আসছে। হাসপাতালের প্রবেশপথেই গড়ে ওঠা এই অনানুষ্ঠানিক বাজারের কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট, সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাসপাতালের মূল গেট দখল করে থাকেন সবজি বিক্রেতারা। অটোরিকশা, সিএনজি, রিকশা ও দোকানির পসরা মিলে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে প্রবেশপথ। ফলে জরুরি বিভাগে যেতে অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগীবাহী গাড়িগুলোকে থেমে থাকতে হয়।

জরুরি বিভাগে রোগী নিয়ে আসা সুজন মিয়া বলেন, ‘রোগীকে নিতে গিয়ে গেটেই ১০ মিনিট আটকে থাকতে হলো। সবজির বস্তা, টমটম আর লোকজনের ভিড়ে রাস্তা একেবারে বন্ধ। হাসপাতালে এমন বাজার থাকা উচিত না।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাজারের বর্জ্য ফেলে রাখা হয় প্রধান ফটকের দুই পাশে। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নষ্ট হয়। রোগী ও স্বজনদের প্রবেশপথ পর্যন্ত আসতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়।

তবে বিক্রেতাদের দাবি, জীবিকার তাগিদেই বসতে হয় এখানে। এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘পেটের দায়ে বসি। হাসপাতালের লোকজন আমাদের নিয়মিত ক্রেতা। চেষ্টা করি জায়গা পরিষ্কার রাখতে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার অনুরোধ করলেও দোকানিরা সরে না। এই জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি দূর করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাজিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা বহুবার বলেছি যেন ফটক ফাঁকা রাখে। আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও বিষয়টি তুলেছি। তবুও কোনো পরিবর্তন নেই।’

জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানা আছে। হাসপাতালের গেট থেকে যানজট ও বাজার দ্রুত সরিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


শেয়ার করুনঃ

দৈনন্দিন থেকে আরো পড়ুন

সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেবায় বাধা