সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরুখ আহমেদের সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সামাজিক প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী–পেশার মানুষ। 

সোমবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ সংক্রান্ত একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তারা।

সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সদস্য, ছাত্রী সাইদা বেগমের পরিবারসহ একটি প্রতিনিধিদল ইউএনও বরকতউল্লাহর কাছে আবেদনপত্র ও স্বাক্ষরিত সমঝোতা কপির মূল নথি আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেন।

গত ৯ নভেম্বর ক্লাস চলাকালীন সময়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাইদা বেগমকে টা ডাস্টার দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে ১৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক ফরুখ আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে একই দিন রাতে শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্টজন ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিষয়টি মানবিকভাবে মীমাংসিত হয়। শিক্ষক ফরুখ আহমেদ ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করলে ছাত্রী সাইদার পরিবার তাকে ক্ষমা করে।

ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখন তাদের কোনো অভিযোগ নেই। স্কুলের স্বাভাবিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবি জানান তারা।
আজ সকালে জমা দেওয়া আবেদনপত্রেও একই দাবি তুলে ধরেন প্রতিনিধিরা। তাঁদের ভাষ্য, সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি ইতোমধ্যে মীমাংসিত হয়েছে। মানবিক বিবেচনায় প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহাল করা প্রয়োজন।

জগন্নাথপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকতউল্লাহ আবেদন গ্রহণ করে বলেন, এটি আইনানুগ প্রক্রিয়ার বিষয়। আপনারা আবেদন দিতে পারেন, তবে সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত।


শেয়ার করুনঃ

দৈনন্দিন থেকে আরো পড়ুন

সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর, শিক্ষক, ইউএনও