ছবিঃ জগন্নাথপুর পৌরসভা কার্যালয়

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরসহ কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন জগন্নাথপুর পৌর এলাকাবাসী।


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিগত সরকারের সময়ের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সিটি ও পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে জেলা ও উপজেলা পরিষদও ভেঙে দেওয়া হয়।


জগন্নাথপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মেয়রকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে উপ-সচিব মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত আদেশে পৌরসভার সকল কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় নাগরিক ভোগান্তি।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি না থাকায় প্রত্যেকটি কাজের জন্য অতিরিক্ত সময় ও খরচ হচ্ছে। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের মতো জরুরি সেবাগুলোও সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না।


জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জুয়েল দাস জানান, মৃত্যুনিবন্ধনের জন্য তিনি পৌরসভায় গেলে পরিষদ থেকে অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও মেয়রের স্বাক্ষর না থাকায় নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিতে বলা হয়। এতে করে সময় নষ্ট হচ্ছে এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।


৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সময় রবিদা জানান, আমার ছেলে-মেয়ের নিমন্ত্রণ কার্ড নিতে এসেছি। জনপ্রতিনিধি না থাকায় তিনদিন ধরে ঘুরছি। আগে হলে একদিনেই কাজ হয়ে যেত।


পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী হেলাল আহমদ বলেন, জনপ্রতিনিধি না থাকায় কাজের গতি কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সেবা অব্যাহত রাখতে।


পৌরসভা প্রকৌশলী সতীশ গোস্বামী বলেন, জনগণের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করছি, তবে জনপ্রতিনিধি না থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে।


জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক বরকত উল্লাহ সিলেট ভয়েসকে বলেন, আমি একসঙ্গে দুটি অফিসের কাজ করছি। পৌরসভার জরুরি কাগজপত্র দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করে দিচ্ছি। এখানে এসে ফাইল নিয়ে বসে থাকতে হয় না, সঙ্গে সঙ্গে কাজ করে দিচ্ছি।


শেয়ার করুনঃ

দৈনন্দিন থেকে আরো পড়ুন