সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে জকিগঞ্জ উপজেলা ও এর আশপাশ শাসন করতেন জমিদার সাজিদ রাজা। প্রজাদের দেখভাল করার জন্য কাঠের তৈরি গাড়ি ও হাতির উপর চড়ে রাজ্য ঘুরে বেড়াতেন। ব্যক্তিজীবনে রাজা ছিলেন চিরকুমার। রাজার রাজবাড়ি ছিলো প্রায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে। এই বাড়িতে রয়েছে তেরোচালার একটি টিনের ঘর। ব্রিটিশ আমলে জমিদার সাজিদ রাজার বোনের উত্তরাধিকারীরা শখের বশে এই ঘর তৈরি করেন। তৎকালীন ১৩ হাজার টাকা মজুরিতে কলকাতার মিস্ত্রিরা তেরোটি চাল তৈরি করেন।
এছাড়া ধর্মপ্রাণ সাজিদ রাজা নামাজ পড়ার সুবিধার্থে ১৭৪০ খৃষ্টাব্দে তার বাড়ির সামনে পিলার ও গম্ভুজের তৈরী দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদটি নির্মাণ করেন। সাধারণ মানুষের পানির জন্য বাড়ির সামনে প্রায় ৮ একর ভূমিজুড়ে একটি বিশাল পুকুর খনন করেন রাজা। প্রজারা সেই পুকুরের পানি খেয়ে তৃঞা নিবারণ করতেন। আজও সেই পুকুরের পানি ব্যবহার করেন রাজার বাড়ির আশেপাশের মানুষজন। আর মসজিদে নামাজ পড়েন পুরো গ্রামের মানুষ।
ছবি:



