হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদী থেকে নিখোঁজের একদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে শ্রমিক গোলাম রাব্বী (২৫)-এর লাশ। 

বালু পরিবহনের কাজে নেমে ডুবে যাওয়ার পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দীঘলবাক ইউনিয়নের কুমারকাদা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।


নিহত শ্রমিকের নাম মোঃ গোলাম রাব্বি (৩২), বরিশাল জেলার বরগুনা উপজেলার বাসিন্দা ও মৃত আব্দুল হকের পুত্র।


রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে এম.বি নীলামনি নামের একটি শিপিং লাইন্সের নিচের ফাটল মেরামতের কাজে পানিতে নামেন তিন শ্রমিক—বরগুনার গোলাম রাব্বী, নাজমুল হোসাইন (২৫) ও শহিদুল ইসলাম।


নাজমুল হোসাইন জানান, “আমরা তিনজন একসঙ্গে পানিতে নামি। কিছু সময় পর রাব্বী নিচে যায় ফুটো বন্ধ করতে, কিন্তু আর উপরে ওঠেনি। অনেক খুঁজেও তাকে পাইনি। আজকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল এসে তার লাশ উদ্ধার করেছে।


হবিগঞ্জ সদর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, অন্ধকার নেমে আসায় প্রথমদিন উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। পরদিন সকালে অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।


এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামরুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার করেছে।সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


স্থানীয়দের দাবি, কুশিয়ারা নদীর বালু ব্যবসায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের দখলদারিত্ব চলছে বহুদিন ধরে। নদী এখন শুধু বালু নয়, প্রাণও গিলে খাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এই সিন্ডিকেটের মূল খুঁজে বের করা।


দীঘলবাক ইউনিয়নের কুমারকাদা এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই বালু উত্তোলন ও পরিবহনের জন্য আলোচিত। নদীর ওই অংশে প্রতিদিন চলে ডজনখানেক ড্রেজার ও বালুবাহী নৌকা। স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

Single News Bottom

শেয়ার করুনঃ

দৈনন্দিন থেকে আরো পড়ুন

নিখোঁজ, কুশিয়ারা, শ্রমিক, মরদেহ, উদ্ধার