সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পানির ট্যাংকির প্লাস্টার ধসে পরে সুমন হোসেন (৩৯) নামের কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে কলেজের শাহজালাল ছাত্রাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

 

নিহত সুমন হোসেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বিলনাথুর গ্রামের মৃত ইসলাম হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি কাজলশাহ এলাকায় হাসপাতালের মসজিদ কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।

 

এদিকে, এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মীরা। প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধের পর হাসপাতাল ও কলেজ প্রশাসনের বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ায় অবরোধ প্রত্যাহার করেন আউটসোর্সিং কর্মীরা। 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আউটসোর্সিং কর্মী সুমন হাসপাতালে রাত্রীকালীন দায়িত্ব শেষ করে বেলা দুইটার দিকে কলেজের শাহজালাল ছাত্রাবাসের সামনে। এসময় তিনি ফোনে কথা বলতে বলতে পানির ট্যাংকির পাশে একটি টং দোকানের সামনে গেলে হঠাৎ করে ট্যাংকির পলেস্তারা খসে দোকানের ওপর পড়ে। এতে সুমন মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন। এসময় অচেতন অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

 

এ বিষয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলে হাসপাতালের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাহবুবুর রহমান সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘নিহত সুমন হাসপাতালের একজন আউটসোর্সিং কর্মী ছিলেন। তিনি রাত্রীকালীন ডিউটি শেষে দুপুরের দিকে কলেজের পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান করছিলেন। এসময় আচমকা ট্যাংকির পলেস্তার ধসে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পানির ট্যাংকিটি পিডব্লিউডির নির্মাণাধীন। এটি কলেজ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায়। ঘটনার পরে প্রশাসনের সঙ্গে আউটসোর্সিং কর্মীদের বৈঠকে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়। পরে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।’

 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর হাসপাতালের কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। নিহত হাসপাতাল কর্মীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। 


শেয়ার করুনঃ

দৈনন্দিন থেকে আরো পড়ুন

সিলেট, ওসমানী মেডিকেল, হাসপাতাল, কর্মচারী, মৃত্যু