অনলাইনে ট্রেনের টিকিট উধাও, বিপাকে সিলেটের যাত্রীরা
অনিয়ম-দুর্নীতি
প্রকাশঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:৩৮ অপরাহ্ন
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদের বৈধ সম্পত্তি বহির্ভুত অবৈধ সম্পত্তির মালিক হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছে দুদক।
আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ আদেশের কপি আনোয়ারুজ্জামানের সিলেট নগরীর পাঠানটুলার বাসার দরজায় টাঙ্গিয়েছে দুদক।
দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আসা ৩ সদস্যের একটি দল দুদকের পরিচালক (মানিলন্ডারিং) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এ নোটিশ টাঙান।
দুদকের সহকারি পরিচালক আসাদুজ্জামান এ সকল তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নামে দুদকে একটি অনুসন্ধান চলমান আছে। সেখানে কমিশন কর্তৃক জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সন্তোষজনক তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে, তখন তাকে সম্পদের বিবরণী দেয়ার জন্য একটি আদেশ জারি করা হয়েছে, সেটা তার বর্তমান ঠিকানায় নোটিশটি টাঙানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট যখন উপস্থিত থাকেন, তখন তার কাছেই দেয়া হয়। আমরা তার স্থায়ী ঠিকানায়ও গিয়েছি, তিনি নেই। বর্তমান ঠিকানায়ও যখন দেখি তিনি নেই, তখন আমরা এটা বাসার সামনে দৃশ্যমান জায়গায় টাঙানো হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জ্ঞাত আয়ের বহির্ভুত স্বনামে বা বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ধারা ২৬ এর উপধারা (১) এর ক্ষমতাবলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও তার উপর নির্ভরশীলদের স্বনামে বা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য নোটিশে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বিবরণী জমা না দিলে কিংবা মিথ্যা বিবরণী জমা দেয়া হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিলেট, দুদক, মেয়র আনোয়ারুজ্জামান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, দুর্নীতি দমন কমিশন