সিলেটে মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২জনের প্রাণহানি, আহত ৮০
দৈনন্দিন
প্রকাশঃ ৭ জুন, ২০২৫ ৬:২৮ অপরাহ্ন
সিলেট নগরীতে কোরবানির ঈদের দিন (৭ জুন) দুপুর গড়াতেই যেন জমে উঠেছে এক ব্যতিক্রমী বাজার। নাম নেই, ঠিকানা নেই, নেই কোনো নির্ধারিত স্টল বা দোকান—তবু শহরের অলিগলি, সড়কের মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পরিণত হয়েছে কোরবানির দানকৃত মাংস বিক্রির জমজমাট কেন্দ্রে।
জোহরের নামাজের পর থেকেই, আম্বরখানা, শাহী ঈদগাহ, জালালাবাদ, সুবিদবাজারসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে পলিথিন কিংবা বস্তায় মোড়া মাংস বিক্রিতে নেমেছেন একদল মানুষ। ভাগাচুক্তিতে বিক্রি হচ্ছে কোরবানীর দানকৃত মাংস। আর এ সকল মাংসের মূল ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ।
প্রথা অনুযায়ী কোরবানির মাংস তিনভাগে ভাগ করতে হয়। তারপর কোরবানিদাতা নিজের জন্য একভাগ রেখে একভাগ দরিদ্র প্রতিবেশী ও স্বজনদের মধ্যে এবং বাকি মাংস গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এই গরিব-মিসকিনদের জন্য দেয়া মাংসই আসে এরকম অস্থায়ী বাজারে।
আম্বরখানা পয়েন্টে এরকম মাংস বিক্রি করছিলেন বাবুল মিয়া। তিনি জানান, তার পরিবার ও স্বজনেরা মিলে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করেছেন। যেহেতু এত পরিমাণ মাংস সংরক্ষণও করার উপায় নেই, একসাথে খাওয়ায় যাবে না, তাই মাংস বিক্রি করতে বসেছেন তিনি।
কয়েকজন বিক্রেতা ও ক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় যে এসব মাংসের মূল ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ যারা মাংসের জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরতে পারেন না কিন্তু চান কোরবানির ঈদের দিন পরিবারের মুখে মাংস তুলে দিতে। তবে কিছু রেস্টুরেন্ট মালিকও সুলভে মাংসে কেনার এ সুযোগ নেন বলে জানান তারা।
জালালাবাদ পয়েন্টের সামনে কথা হয় একরামুল হকের সাথে। পেশায় একটি গ্যারেজের মেকানিক। তিনি বলেন, ‘কোরবানি দেয়ার তো আর সামর্থ নেই। তাই কোরবানির ঈদের দিন চেষ্টা করি কম দামে কিছু মাংস কিনতে। ঈদের দিন পরিবারকে নিয়ে একটু ভালোভাবে খাওয়ার একটা ব্যবস্থা।’
এখানেই কথা হয় সবতেরা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, ‘কোরবানির দিন বাসায় বাচ্চারা মাংস খেতে চায়, কিন্তু বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাংস সংগ্রহ করতে রুচিতে বাঁধে। আবার বাজার থেকে এত দাম দিয়ে মাংস কেনারও সামর্থ হয়না সবসময়। তাই কোরবানির দিন একটু বেশি করে মাংস কিনে নিচ্ছি যাতে কিছুদিন চলে যায়।’
সিলেট, সিলেট নগরী, কোরবানির মাংস, মাংস বিক্রি